ব্যবসা ক্ষেত্রে শ্রীশ্রীগুরুচাঁদ ঠাকুর

গুরুচাঁদ ঠাকুরের বাণী

শ্রীশ্রীগুরুচাঁদ ঠাকুর ব্যবসায়ের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা গোলোকের কাছে ব্যাখা করেন। শ্রীশ্রী গুরুচাঁদ ঠাকুর পিতার অনুমতি নিয়ে ব্যবসায় পুজিঁ নিয়োগ করেন। প্রথমে তিনি বাণিজ্যের জন্য কতগুলি নৌকা নিমার্ণ করলেন। ক্রম ক্রমে দাড়ী মাঝি ব্যাপারীরা হাজির হলেন। এবং ব্যাপারীর দলের নেতা হল মহেশ বেপারী। এই ভাবে তিনি কতগুলি গরীব দুস্থ লোকের জীবিকার সন্ধান দিলেন। চার পাঁচজন মিলে এক একটি দল গড়া হল। এক একটি দল একটি নৌকা নিয়ে বাণিজ্য তরুণী জলে ভাসাল। বাণিজ্যে যাবার আগে সকলেই পূর্ণব্রহ্ম শ্রীশ্রীহরি ঠাকুরের আর্শিবাদ প্রার্থনা করল। শ্রীশ্রীহরিচাঁদ মধুর বচনে উপদেশ দিয়ে আর্শিবাদ করলেন- তোমরা মানুষ হও, সৎ পথে থাক, ধন মান লাব করে উন্নত হও। অসৎ পথে গেলে ধ্বংস হয়ে যাবে। কেউ তোমাদের রক্ষা করতে পারবেনা। আমি যা বললাম তাহা মনে রাখলে তোমাদের কোন অসুবিধা হবেনা। আর্শিবাদ পেয়ে মহেশ ব্যাপারী সঙ্গিদের নিয়ে বাণিজ্য যাত্রা শুরু করলো। শ্রীশ্রীহরিচাঁদ ঠাকুরের বাক্যনুযায়ী তারা বন্দরে বন্দরে ব্যবসা করে অচিরেই মহা ধনবান হল। তাদের দারিদ্র ঘুচে গেল। এই ভাবে শ্রীশ্রীগুরুচাঁদ ঠাকুরের দশ বৎসর বাণিজ্য করলেন। এই সময় তার পুত্র শশীভূষণের জন্ম হলো। এরপর শ্রীশ্রীগুরুচাঁদ ঠাকুর বাণিজ্যের জন্য হরিদাশ পুরে স্থায়ী ঘর নির্মাণ করলেন। এই খানে ব্যবসায়ে ও লগ্নী করাবার চলতে লাগল। এই সময়ে ১২৮৪ সালে পূর্ণব্রহ্ম শ্রীশ্রীহরিচাঁদ ঠাকুর নরদেহ ত্যাগ করলেন। লীলা সাঙ্গ করে মহাতিরোধান করলেন। শ্রীশ্রীহরিচাঁদ ঠাকুরের তিরোধান ভক্তরা মহাশোকগ্রস্ত হলেন। তিরোধানের আগে শ্রীশ্রীগুরুচাঁদ ঠাকুরকে বলে গেলেন- যে কাজ আমার বাকি রইল তাহা সম্পন্ন করবে। পতিত জমি আবাদ করবে। আমরা জানি শ্রীশ্রীগুরুচাঁদ ঠাকুর তার পিতার বাক্য অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছিলেন। সেই আদেশ পালনার্থ তাঁ সংগ্রামী জীবনের ইতিহাস। শ্রীশ্রীগুরুচাঁদ ঠাকুরের সঙ্গে শ্রীশ্রীহরিচাঁদ ঠাকুর মিশে গেলেন। নিজে ব্যবসায় বাণিজ্য কৃষি কার্য্য করে শ্রীশ্রীগুরুচাঁদ ঠাকুর পিছিয়ে পড়া জাতিকে শেখালেন– জাতির  বড় হতে হলে কৃষি, ব্যবসায় বাণিজ্য শিল্প ও সাহিত্য সববিষয়ে যোগ্য হতে হবে।

Leave a Reply